জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে প্রদর্শিত হলো ব্যতিক্রমী ড্রোন শো ‘ডু ইউ মিস মি’। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এই প্রযুক্তিনির্ভর নাট্যআয়োজন নজর কাড়ে সবার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের নতুন মাত্রা
প্রতি বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন করা হয় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের স্মারক হিসেবে। এবার এই দিবসটি ঘিরে রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয় এক ব্যতিক্রমী আয়োজন-ড্রোন ড্রামা ‘ডু ইউ মিস মি’।
ড্রোন শো: প্রযুক্তি আর প্রতিবাদের মিশেল
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট রাত ১১টায় শুরু হয় এই বিশেষ ড্রোন প্রদর্শনী। প্রায় ১২ মিনিটের শো-তে আকাশে ফুটে ওঠে ১২টি প্রতীকী মোটিফ, যা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বার্তা বহন করে।
শুরুর দৃশ্যেই ছিল চমক:
একটি হাত প্ল্যাকার্ড ধরে রেখেছে, লেখা “Do You Miss Me?”
এরপর আকাশজুড়ে ভেসে উঠে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মুখাবয়ব, যেন এক ভয়াবহ নিপীড়কের প্রতিচ্ছবি।
‘ডু ইউ মিস মি’: কী বোঝাতে চায় এই বার্তা?
এই নাট্যরূপে ড্রোন শো-এর মাধ্যমে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় জনগণের প্রতি-আপনারা কি আমাকে মিস করেন? এখানে ‘আমি’ বলতে বোঝানো হয়েছে এক গণতান্ত্রিক নেতৃত্বকে, যাকে হয়তো হারিয়ে ফেলেছে জনগণ। মুখাকৃতির মাধ্যমে ইঙ্গিত করা হয় স্বৈরশাসনের প্রতিচ্ছবির দিকে।
ড্রোন ড্রামা ও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ: এক নতুন ধারা
এই ধরনের ডিজিটাল ভিজ্যুয়াল পারফর্মেন্স বাংলাদেশে বিরল। এটি ছিল নিছক বিনোদনের নয়, বরং সচেতনতার বার্তা ছড়ানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ড্রোনগুলো নিখুঁতভাবে সাজানো হয়েছিল প্রতীকী চিত্র ও বার্তা ফুটিয়ে তুলতে, যা দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন তোলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড়
শো শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই ড্রোন ড্রামার ছবি ও ভিডিও। অনেকে একে বলছেন “ফিউচারিস্টিক প্রতিবাদ”, কেউ বলছেন “শিল্প দিয়ে প্রতিরোধ”।
শেষকথা:
‘ডু ইউ মিস মি’ ড্রোন ড্রামা দেখিয়েছে কীভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিবাদকে দৃশ্যমান ও অর্থবহ করে তোলা যায়। এটি বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।