বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্ট ফরম্যাটের জনপ্রিয়তা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে আইসিসি সম্প্রতি দ্বি-স্তরের ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই পরিকল্পনা আরও জোরদার হয়েছে। তবে এ নিয়ে ইতিবাচক সাড়া যতটা মিলেছে, সমালোচনা বা সন্দেহের কণ্ঠও ততটাই স্পষ্ট,বিশেষ করে ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে।
কী এই দ্বি-স্তরের টেস্ট কাঠামো?
- দ্বি-স্তরের কাঠামোতে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে দুইটি স্তরে ভাগ করা হবে।
- প্রথম স্তরে থাকবে শক্তিশালী ও র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দলগুলো।
- দ্বিতীয় স্তরে থাকবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো।
- এটি অনেকটা ফুটবলের লিগ কাঠামোর মতো, যেখানে দলগুলো পদোন্নতি ও অবনমনের নিয়মে এক স্তর থেকে অন্য স্তরে যেতে পারবে।
এই কাঠামোর লক্ষ্য কী?
- শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে আরও বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করা
- আয় বৃদ্ধি (বিশেষ করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট সিরিজে)
- ক্রিকেটকে আরও রক্ষণশীল ও অর্থনৈতিকভাবে সুশৃঙ্খল করা
ইংল্যান্ডের আপত্তির কারণ কী?
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB) দ্বি-স্তরের কাঠামো নিয়ে একপ্রকার নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে,
- এটি টেস্ট ক্রিকেটে বৈষম্য তৈরি করবে
- দ্বিতীয় স্তরের দলগুলো মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সুযোগ হারাবে
- ক্রিকেটের উদীয়মান দেশগুলোর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে
- ফিক্সচার এবং সিরিজের বৈচিত্র্য কমে যাবে
ECB মনে করে, টেস্ট ক্রিকেটের বৈশ্বিক বিস্তার ও টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সমান সুযোগ ও একীভূত কাঠামো, বিভাজন নয়।
তাহলে কি এটি টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দেওয়া কঠিন। কারণ:
একদিকে এটি প্রতিযোগিতার মান বাড়াতে পারে,অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
এখন দেখার বিষয় হলো, আইসিসি কীভাবে সকল দলের স্বার্থ রক্ষা করে এই কাঠামো বাস্তবায়ন করে।