বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলে এর উন্নতি হবে বলে আশা করছেন।
নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
সিইসি উল্লেখ করেন, যখন রাষ্ট্র, সরকার ও দল এক হয়ে যায়-তখন সবকিছু একসঙ্গে ভেঙে পড়ে। এর ফলে নির্বাচন ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ হয়, যা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কমিশনের অন্যতম অগ্রাধিকার হবে।
ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তি মোকাবেলায় উদ্যোগ
সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, যা মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। এর মাধ্যমে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া এবং ভুল তথ্য প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা
গত নির্বাচনে যেসব প্রিজাইডিং অফিসার সমস্যা তৈরি করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিইসি। এতে বোঝা যাচ্ছে, কমিশন পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে।
নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধ
সিইসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। বরং ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে। তার মতে-
“ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি এটি ঈমানি দায়িত্বও।”
শেষ কথা :
সিইসি’র বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিভ্রান্তি প্রতিরোধ এবং ভোটার আস্থা পুনরুদ্ধার,এই তিনটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।