বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক বাস্তবতা বিরাজ করছে, তা অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত প্রদান করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২৭ জুলাই (রবিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছে না।”
তাঁর মতে, দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং বিনিয়োগে স্থবিরতার মূল কারণ হলো গণতান্ত্রিক ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকা। তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনকে সফল করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
খসরুর বক্তব্যের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা রয়েছে,তা হলো: অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান থাকেন, তখন তারা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাগ্রস্ত হন। রাজনৈতিক অস্থিরতা মানেই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।বর্তমানে বিনিয়োগে যে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা অনেকাংশেই রাজনৈতিক অবিশ্বাস থেকে উৎসারিত। নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতিতে নীতিনির্ধারণী স্তরে জবাবদিহিতার অভাব সৃষ্টি হয়, যা সরাসরি প্রশাসনিক অকার্যকারিতার দিকে ধাবিত করে।
জুলাই আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি
আলোচনায় আমীর খসরু যে “জুলাই আন্দোলন” সফল করার কথা বলেছেন, তা মূলত বর্তমান সরকারের প্রতি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক চাহিদার প্রতিফলন। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন কেবল মুখের কথা হয়ে থাকবে বলেও তার বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল।
রাজনৈতিক সমাধানই হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ
দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হলে অর্থনীতি কখনোই গতিশীল হবে না,এটি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে আমীর খসরুর বক্তব্যে। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনের বিকল্প নেই।