যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ওপর আরোপিত শুল্ক অনেক দিন ধরেই দেশের রপ্তানি খাতের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে ছিল। সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো ক্ষমতায় ফিরে কিছু বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্যের ওপর আগে যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প (RMG) দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% এর বেশি জোগান দেয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশগুলোর একটি। শুল্ক বেশি থাকায় বাংলাদেশের পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তুলনামূলকভাবে দামি হয়ে যেত। ফলে ভোক্তারা কম দামে পোশাক সরবরাহ করতে সক্ষম প্রতিযোগী দেশগুলোর (যেমন ভিয়েতনাম, ভারত, কম্বোডিয়া) দিকে ঝুঁকতেন।
বিশ্লেষকরা কী বলছেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক কমানো ভালো খবর হলেও পুরো অস্বস্তি দূর হয়নি। কারণ —
বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর (যেমন ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া) ক্ষেত্রেও শুল্ক প্রায় একই হারে আছে।
ভারতের জন্য শুল্ক মাত্র ২৫% রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য বেশি হলেও খুব বড় পার্থক্য নয়।
ফলে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুব বেশি সুবিধা পাবে না।
তবে ভারতের তুলনায় শুল্ক কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি আছে।
অর্থাৎ, এই শুল্ক কমানো একধরনের স্বস্তি দিয়েছে, তবে পুরোপুরি সমস্যার সমাধান নয়। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক আরও কমানো বা কোনো ধরনের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা (যেমন GSP বা Duty-Free সুবিধা) আবার চালু হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আরও প্রতিযোগিতা সক্ষম হবে।