সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কোরিওগ্রাফার ও শিল্প নির্দেশক অ্যাডলফ খানের কিছু ছবি। ছবিগুলোর সঙ্গে যোগ করে তাকে বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ’। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে অনেক ব্যবহারকারী এ নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, কেউ মজা করেছেন, কেউ বা প্রশংসা করেছেন। তবে পুরো ঘটনাটি নিয়ে বেশ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অ্যাডলফ খান নিজেই।
“আমি একজন কোরিওগ্রাফার, মডেল নই”
অ্যাডলফ খান বলেন, “আমি কখনোই নিজেকে এই ধরনের উপাধির যোগ্য বলে দাবি করিনি। আমার কাজ মঞ্চে, ক্যামেরার পেছনে। মানুষ আমাকে আমার সৃষ্টিশীল কাজের জন্য চিনুক, বাহ্যিক রূপের জন্য নয়।”
তিনি আরও জানান, এসব ছবি এবং মিমস তার সম্মতি ছাড়া ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনেও বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ট্রেন্ড ও দায়বদ্ধতা
বর্তমানে যেকোনো ব্যক্তি বা বিষয় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। হাস্যরস, ট্রল কিংবা প্রশংসা-সব মিলিয়ে কখনো কখনো তা বিব্রতকরও হয়ে দাঁড়ায়। অ্যাডলফ খানের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো ব্যক্তিকে ‘ভুলভাবে’ তুলে ধরার দায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সচেতনতার অভাব এবং ‘লাইকের নেশা’ থেকেই জন্ম নেয়।
ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সম্মান
একজন শিল্পী বা যে কারো ব্যক্তিগত সম্মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। কাউকে তার অজ্ঞাতে মিমে পরিণত করা কিংবা উপাধি দিয়ে ট্রেন্ড বানানো, সেটা যতই নিরীহ মনে হোক না কেন, তা আপত্তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অ্যাডলফ খানের প্রত্যাশা
তিনি চান, মানুষ যেন তার কাজকে কেন্দ্র করেই মূল্যায়ন করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সম্মতি ছাড়া এ ধরনের প্রচার থেকে বিরত থাকে। তার কথায়, “সুন্দর হওয়া কোনো অপরাধ নয়, তবে সেই সৌন্দর্য নিয়ে বাড়াবাড়ি ও উপহাস অন্যায়।”
শেষ কথা:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া যেমন জনপ্রিয়তা বয়ে আনে, তেমনি ব্যক্তিগত অস্বস্তিও তৈরি করতে পারে। অ্যাডলফ খানের ঘটনাটি তারই একটি স্পষ্ট উদাহরণ। আমাদের উচিত-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সম্মান ও সম্মতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।