রিলস ভিডিওতেই দিলেন সবার মুখে চুপ!
সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি আবারও উঠে এসেছেন আলোচনায়,তবে এবার কোনো সিনেমা বা অভিনয়ের কারণে নয়, বরং এক গুচ্ছ সামাজিক মাধ্যমের গুঞ্জন নিয়ে।
সম্প্রতি দেশের একটি বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ছবি দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন তিনি। এতে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই নায়িকা। অসুস্থ অবস্থাতেই তাকে শুনতে হয়, তিনি নাকি নিজের মেয়েকে দেখাশোনা করছেন না।
এই গুজব মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু পরীমণি চুপ থাকেননি। রীতিমতো হেটার্সদের উদ্দেশে কড়া জবাব দিয়েছেন একটি রিলস ভিডিওর মাধ্যমে।
কী ছিল সেই ভিডিওতে?
পরীমণির শেয়ার করা ভিডিওতে তাকে দেখা যায় মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে, আদর করতে ও খেলার মুহূর্তে। ক্যাপশনে লিখেছেন,
“মা কখনো দায়িত্ব ফেলে না, মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয় শুধু।”
এই ছোট্ট লাইনটি যেন ছিল হাজারটা সমালোচনার একমাত্র উত্তর। যিনি মা, তিনি জানেন মাতৃত্ব কতটা পরিশ্রমের, কতটা গভীর ভালোবাসার।
মাতৃত্বের মানে কি শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়া?
পরীমণির ভিডিও যেন একধরনের সামাজিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়-আজকাল কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করা অনেকের কাছে বিনোদনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ যদি তার সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত না দেখায়, তাতে কি প্রমাণ হয় তিনি খারাপ মা?মাতৃত্ব ক্যামেরার সামনে নয়, চলার পথের প্রতিটা ধাপে প্রকাশ পায়।
পরীমণির হেটার্সদের উদ্দেশে বার্তা
এই ভিডিওর মাধ্যমে পরীমণি শুধু নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন না, বরং সামাজিকভাবে এক বার্তাও পৌঁছে দিলেন-
“মাতৃত্ব নিয়ে গুজব ছড়ানোর আগে নিজের মা’কে একবার ভাবুন।“
মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বও সামনে আনলেন
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে আসে- মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা।
পরীমণির প্যানিক অ্যাটাক প্রমাণ করে, সেলিব্রিটি হওয়া মানেই অরক্ষিত থাকা। তারকাদেরও মানসিক চাপ হয়, বিষণ্ণতা হয়, ক্লান্তি আসে। এই বাস্তবতা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই।
শেষকথা:
পরীমণির জবাব ছিল শান্ত, সংবেদনশীল এবং শক্তিশালী। তিনি দেখিয়ে দিলেন, একজন মা শুধু রক্তে নয়, মনের গভীর থেকে সন্তানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন।সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব কখনো মাতৃত্বের সত্যতাকে মুছে ফেলতে পারে না।
এটাই পরীমণির জবাব-একটা ভিডিও, অনেকটা শিক্ষা।