বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৪ টেরাবাইট প্রতি সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে। জেনে নিন এর গুরুত্ব ও প্রভাব।
দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে ঐতিহাসিক অগ্রগতি
বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর এবং ইন্টারনেট নির্ভরতার এই যুগে বড় এক মাইলফলক ছুঁলো বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (BSCCL বা বিএসসিপিএলসি)। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ৪ টেরাবাইট প্রতি সেকেন্ড (Tbps) ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।
কী এই ব্যান্ডউইথ রেকর্ড?
ব্যান্ডউইথ বলতে বোঝানো হয় প্রতি সেকেন্ডে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষমতা। যেখানে আগে দেশের ব্যান্ডউইথ সরবরাহ সীমিত ছিল, এখন ৪ টেরাবাইট/সেকেন্ড ক্ষমতা পৌঁছানোর অর্থ
- আরও দ্রুত ইন্টারনেট
- কম লোড টাইম
- উন্নত স্ট্রিমিং ও ক্লাউড সেবা
বিএসসিপিএলসির অর্জন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দক্ষতা প্রমাণ
- ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত
- টেলিকম ও আইটি খাতের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল
- ই-কমার্স, অনলাইন শিক্ষা ও রিমোট ওয়ার্কে সহায়ক
- বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়াবে
কারা পাচ্ছে এই সুবিধা?
- এই রেকর্ডের ফলে সরাসরি উপকৃত হবে-
- মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা
- ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাত
- দেশের সাধারণ ব্যবহারকারী, যারা প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন
আগামীর পরিকল্পনা
বিএসসিপিএলসি জানায়, ভবিষ্যতে তারা ছয় টেরাবাইট পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। এছাড়া নতুন সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ (SMW-6)-এও বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছে।
শেষকথা:
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি’র এই রেকর্ড শুধু প্রযুক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি একটি উন্নয়নশীল দেশের সক্ষমতার প্রতিচ্ছবি। ভবিষ্যতের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এ ধরনের অর্জন হবে অন্যতম চালিকাশক্তি।