গত এক বছরে ফিনল্যান্ডে অভিবাসন সংক্রান্ত পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে, যার প্রভাব পড়েছে কর্মভিত্তিক রেসিডেন্স পারমিট আবেদন এবং তা প্রক্রিয়াকরণের সময়েও।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ে মোট ১৫,৪৯১টি কর্মভিত্তিক রেসিডেন্স পারমিট আবেদন জমা পড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫% কম।
আবেদনের হার কমার কারণ কী?
এতে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ‘সিজনাল ওয়ার্কার্স অ্যাক্ট’ সংশোধনী। বিশেষ করে যেসব বিদেশি কর্মী ২০২৪ সালে বুনো বেরি সংগ্রহের জন্য পারমিট নিয়েছিলেন, তারা এখন সিজনাল ওয়ার্ক ভিসা গ্রহণ করছেন। ফলে ঐ ক্যাটাগরির কর্মভিত্তিক পারমিটের আবেদন কমেছে।
কী পরিমাণ আবেদন গৃহীত হয়েছে?
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১৩,৬১৯টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্মভিত্তিক আবেদনের ওপর। এর মধ্যে
- ৮২% ইতিবাচক সিদ্ধান্ত,
- ১৫% নেতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
- তবে উদ্বেগজনক দিক হলো,
- ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৩% প্রথমবারের আবেদনের ওপর নেতিবাচক সিদ্ধান্ত এসেছে।
- যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে এই হার ছিল ১৯%।
কেন বাড়ছে বাতিলের হার?
ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জোহানেস হিরভেলা বলছেন-
ফিনল্যান্ডে ধীরগতির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, উচ্চ বেকারত্ব এবং বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে কোম্পানিগুলো অনিশ্চয়তায় ভুগছে। ফলে অনেক পেশার জন্য স্থানীয় কর্মীর জোগান ভালো, যার কারণে অনেক আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।
এছাড়াও, ১৪% নেতিবাচক সিদ্ধান্ত এসেছে ‘লেবার মার্কেট টেস্টিং’-এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে, অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত কর্মী পাওয়া গেছে বলেই বিদেশি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
একই সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকার প্রবণতা বাড়ছে
অন্যদিকে, ডিগ্রি শেষ করা অনেক শিক্ষার্থী এখন ফিনল্যান্ডেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যা অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে।
শেষকথা :
ফিনল্যান্ডে কর্মভিত্তিক অভিবাসনের ক্ষেত্র সংকুচিত হলেও যারা এখানেই পড়াশোনা শেষ করছেন, তাদের জন্য সুযোগ এখনো বিদ্যমান। তবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার সময় দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা, অভিবাসন আইন ও স্থানীয় শ্রমবাজার পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।