বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সঞ্চার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন পুতিন সাক্ষাৎ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স
ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প নিজেই ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এই বৈঠককে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেন।
ইউরোপীয় মিত্রদেরও জানানো হয়েছে
ট্রাম্প জানান, আলোচনার বিষয়বস্তু ইউরোপীয় মিত্রদেরও জানানো হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, “এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য আমরা যা সম্ভব, সবকিছুই করব।” তবে কবে, কোথায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি তিনি।
ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া
ক্রেমলিন থেকে দেয়া এক অস্পষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কো ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে ট্রাম্প-পুতিন সাক্ষাৎ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য আসেনি।
নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো-ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, যদি আলোচনায় শান্তিচুক্তির অগ্রগতি না হয়, তাহলে আগামী ৮ আগস্ট রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন তিনি। একইসঙ্গে রাশিয়া থেকে যারা এখনো জ্বালানি কিনছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতা
ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার বিশেষ দূত উইটকফ ইতোমধ্যে বহুবার মস্কো সফর করেছেন, তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো চুক্তি হয়নি। বরং ট্রাম্প প্রকাশ্যে তার হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
ট্রাম্পের কৌশল – শান্তি না চাপ?
ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল পরিষ্কার। একদিকে আলোচনার টেবিলে শান্তির বার্তা, অন্যদিকে ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞার হুমকি। এটাই কি কার্যকর কূটনীতি, নাকি দ্বিচারিতা?
বিশ্ব রাজনীতির পরবর্তী ধাপে এই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটুকু নিশ্চিত যে ট্রাম্প ও পুতিনের সাক্ষাৎ বিশ্ব পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।