পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর ওয়াশিংটন জানিয়েছে, পাকিস্তান ও ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর দুই দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সফরের প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। এই সফরের পর বিশ্ব কূটনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ও ওয়াশিংটনের ভূমিকা।
ওয়াশিংটনের স্পষ্ট বার্তা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক ব্রিফিংয়ে বলেন,
“পাকিস্তান ও ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। আমরা উভয় দেশের প্রতিই সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি অতীতের সংঘাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রূপ নিতে পারত। তাই যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের মধ্যে সংলাপ ও শান্তি বজায় রাখার পক্ষে।
ভারত-পাক উত্তেজনার ইতিহাস
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত বিরোধ, কাশ্মীর ইস্যু এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ ঘিরে উত্তেজনাপূর্ণ। বেশ কয়েকবার সীমান্তে সশস্ত্র সংঘর্ষও হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ভারসাম্য
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের সাথেই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বজায় রেখেছে। পাকিস্তানের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভারতের সাথে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা চুক্তিও সমান গুরুত্ব বহন করে।
পাকিস্তান: সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতা
ভারত: অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা
দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ শান্তি প্রচেষ্টা
ওয়াশিংটনের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ, পারস্পরিক আস্থা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের প্রক্রিয়া জোরদার করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, দুই দেশের প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে না গড়ায়।
শেষকথা:
জেনারেল আসিম মুনিরের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুধু পাকিস্তান-আমেরিকা সম্পর্ক নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য নিয়েও নতুন করে ভাবার সুযোগ এনে দিয়েছে। ওয়াশিংটনের বার্তা স্পষ্ট-ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের সাথেই সম্পর্ক বজায় থাকবে এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।