ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে ফ্যাসিবাদ রোধ হবে, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ কমবে এবং জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
চরমোনাই পীরের বক্তব্যের মূল সারমর্ম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম সম্প্রতি বলেন, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করা হলে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ থাকবে না। এতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হ্রাস পাবে এবং একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন সম্ভব হবে।
পিআর পদ্ধতির সুফল
চরমোনাই পীরের মতে, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে-
০১.সকল দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।
০২.অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে সহায়ক হবে।
০৩.সংলাপের সংস্কৃতি বৃদ্ধি পাবে।
০৪.ভোটের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
০৫.এটি একক দল বা গোষ্ঠীর আধিপত্য কমিয়ে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করবে।
ফ্যাসিবাদ রোধে রাজনৈতিক শিষ্টাচার জরুরি
রেজাউল করীম অভিযোগ করেন, দেশে ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের প্রভাব এখনও রয়ে গেছে, যা অস্থিতিশীলতার মূল কারণ। তিনি আহ্বান জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে-
০১.নিজেদের কর্মকাণ্ডে সতর্ক থাকতে
০২রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখতে
০৩.সমঝোতার পথে এগোতে
০৪.যাতে কোনো পরিস্থিতিতেই ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দিতে না পারে।
বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির সম্ভাবনা
বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি সফলভাবে চলছে। বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু হলে-
০১.সংসদে ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলের আসন পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
০২.ভোটারদের প্রতিটি ভোট মূল্য পাবে।
০৩.রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে।
শেষকথা:
চরমোনাই পীরের মতে, পিআর পদ্ধতি কেবল নির্বাচনী সংস্কার নয়; এটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ। সুষ্ঠু, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ব্যবস্থার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা গড়ে তোলাই হবে মূল চাবিকাঠি।