পাকিস্তান তাদের সামরিক বাহিনীতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে “আর্মি রকেট ফোর্স” নামে বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের মাধ্যমে। দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই নতুন ইউনিটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত সামরিক কৌশল যুক্ত এই রকেট ফোর্স মূলত ব্যালিস্টিক মিসাইল, হাইপারসনিক অস্ত্র ও বিভিন্ন ধরণের রকেটের তত্ত্বাবধান ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
আর্মি রকেট ফোর্সের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা: শত্রুপক্ষের যেকোনো আগ্রাসন ঠেকাতে সক্ষম হবে এই নতুন ইউনিট।
পাল্টা আঘাত হানার সক্ষমতা: পাকিস্তানের দাবি, রকেট ফোর্স থাকলে দেশটি আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।
প্রযুক্তির ব্যবহার: উন্নত রাডার সিস্টেম, কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং স্মার্ট মিসাইল টেকনোলজি সমন্বয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই উইং।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট
২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় দুই দেশই পাল্টাপাল্টি রকেট ও মিসাইল হামলায় জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান এমনকি ভারতের ভূখণ্ডে ফাতাহ মিসাইল হামলার দাবি করেছিল। এই পরিস্থিতিই দেশটিকে আরও শক্তিশালী ও সংগঠিত রকেট উইং গঠনের দিকে নিয়ে যায়।
আঞ্চলিক প্রভাব
বিশ্লেষকদের মতে, আর্মি রকেট ফোর্স গঠন দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভারত ও চীন ইতোমধ্যে হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ মূলত কৌশলগত প্রতিরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
শেষকথা-
পাকিস্তানের আর্মি রকেট ফোর্স শুধু সামরিক শক্তি বৃদ্ধিই নয়, বরং আঞ্চলিক রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই ইউনিট দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।