বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে চিত্রনায়ক জসীমের নাম এক কিংবদন্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। অ্যাকশন হিরো হিসেবে পরিচিত এই তারকা শুধু রুপালি পর্দায় নয়, মানুষের হৃদয়েও স্থান করে নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেই মানুষটির ছেলে, এ কে রাতুলের হঠাৎ মৃত্যু যেন আবারও মনে করিয়ে দিল বেদনারও উত্তরাধিকার হয়।
রোববার, ২৭ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ কে রাতুল। তিনি শুধু চিত্রনায়ক জসীমের সন্তান নন; নিজের পরিচিতিও গড়ে তুলেছিলেন সংগীত জগতে। রক ব্যান্ড ‘ওইনড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে রাতুল ছিলেন তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত একটি নাম।
তার হঠাৎ চলে যাওয়ায় সংগীত অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেকেই বলছেন, পিতার মতো রাতুলও চলে গেলেন অল্প বয়সেই-নিরব, অকালে। চিত্রনায়ক জসীম ১৯৯৮ সালে মারা গিয়েছিলেন মাত্র ৪৭ বছর বয়সে। ছেলেও যেন একই পরিণতির শিকার হলেন। এমন একটি চিরচেনা বেদনাময় পুনরাবৃত্তি যেন কাঁদিয়ে তুলেছে ভক্ত-অনুরাগীদের।
রাতুল ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও সংবেদনশীল শিল্পী। ব্যান্ড সংগীতে তার অবদান ছিল গভীর। শুধু গান গাওয়া নয়, শব্দ প্রকৌশল ও সংগীত প্রযোজনায়ও ছিলেন পারদর্শী। ‘ওইনড’ ব্যান্ডের অনেক সৃষ্টির পেছনে তার স্পর্শ ছিল নিঃশব্দ অথচ গুরত্বপূর্ণ।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকবার্তায় ভরে ওঠে। সহকর্মী, বন্ধু ও ভক্তরা তাকে স্মরণ করছেন একজন বিনয়ী, প্রতিশ্রুতিশীল ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে।
শেষ কথা:
শিল্পীর মৃত্যু হয় না। তারা রয়ে যান তাদের কাজে, তাদের গানে, তাদের অভিনয়ে। রাতুলও রয়ে যাবেন বাংলার ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে একটি অসমাপ্ত প্রতিভার নাম হয়ে।