বাংলাদেশ ও সৌদি আরব,দুই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন করে প্রাণ পেতে চলেছে। সম্প্রতি ঢাকায় নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফের বিন আবিয়াহ সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সাক্ষাৎ শুধু প্রথাগত শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের দিকনির্দেশনাও উঠে আসে আলোচনায়। প্রধান উপদেষ্টা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
কূটনৈতিক সম্পর্কের উষ্ণ সূচনা
কূটনৈতিক অঙ্গনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের সৌজন্য সাক্ষাৎকে একটি ইতিবাচক সূচনা হিসেবেই ধরা হয়। এটি শুধু পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনই নয়, বরং ভবিষ্যতের দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম, বিনিয়োগ, শ্রমবাজার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়ের মতো বিষয়ে অগ্রগতি আনার প্রাথমিক ধাপও হতে পারে।
আশা ও সম্ভাবনার সেতুবন্ধন
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ শ্রমিক সৌদি আরবে পাড়ি জমান জীবিকা নির্বাহের জন্য। সেই সঙ্গে হজ ও ওমরাহ পালনকারী বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরব সবসময় গুরুত্বপূর্ণ এক গন্তব্য। অন্যদিকে, সৌদি আরবও বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়।এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের এমন সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ কেবল প্রথা নয়, বরং তা একে অপরের প্রতি আস্থা ও বন্ধুত্বের প্রতীক।
শেষ কথা
সৌদি রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য সাক্ষাৎ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কেবল চুক্তি ও কাগজপত্রে সীমাবদ্ধ নয় -এটি ব্যক্তিগত আন্তরিকতা, সম্মান ও ভবিষ্যতের জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই গড়ে ওঠে। আশা করা যায়, এই শুভ সূচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হবে যা কিনা,আরও বন্ধুত্বপূর্ণ, ফলপ্রসূ ও ভবিষ্যতনির্ভর হবে।